বড়পুকুরিয়া মামলায় হাইকোর্ট বেঞ্চের প্রতি খালেদার অনাস্থা
আদালত প্রতিবেদক, প্রতিক্ষণ ডটকম:
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতি মামলায় দেওয়া রুলের শুনানীতে বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের প্রতি অনাস্থা জনিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারস বেগম খালেদা জিয়া।
একই সঙ্গে হাইকোর্টের অন্য বেঞ্চে মামালাটি বদলির জন্যও আবেদন জানানো হয়েছে। বুধবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন দাখিল করা হয়েছে। এর একটি কপি সরকারপক্ষকেও দেওয়া হয়েছে।
অনাস্থা জানিয়ে করা আবেদনে বলা হয়েছে, এ মামলায় রুলের ওপর শুনানী পিছিয়ে দিতে গত ৫ মার্চ আবেদন করা হলেও আদালত দুদকের আইনজীবীর বক্তব্য শুনে রায়ের দিন ধার্য করেছেন।
এ ছাড়া গত ৮ মার্চ খালেদা জিয়ার পক্ষে ব্যারিস্টার রফিক-উল হক সময়ের আবেদন করলেও আদালত ১৫ মার্চ রায়ের জন্য দিন রেখেছেন।
আবেদনে আরও বলা হয়, বেঞ্চের সিনিয়র বিচারপতি আইনজীবী থাকাকালে সরকার সমর্থক প্যানেল থেকে সহ-সভাপতি পদে সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতিতে নির্বাচন করেছিলেন। এ অবস্থায় খালেদা জিয়া এ আদালতে ন্যায়বিচার পাবেন না বলে আশঙ্কা করছেন। তাই অন্য বেঞ্চে মামলাটি স্থানান্তর করা প্রয়োজন।
প্রায় সাড়ে ৬ বছর আগে ২০০৮ সালে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা মামলার কার্যক্রম কেন বাতিল করা হবে না মর্মে হাইকোর্ট রুল জারি করেছিলেন। দুদকের আবেদনে এ রুলের ওপর গত ৫ মার্চ শুনানী সম্পন্ন হয়। এ রুল নিষ্পত্তির জন্য দুদক আবেদন করার পর হাইকোর্টে শুনানী হয়। দুদকের পক্ষে শুনানী করেন এ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।
তবে খালেদা জিয়ার পক্ষে কোনো আইনজীবী শুনানী করতে যাননি। ওই দিন সকালে খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন জুনিয়র আইনজীবী পাঠিয়ে সময়ের আবেদন করেন। আদালত বিকেলে শুনানীর জন্য রাখেন। এর পর দুদকের আইনজীবীর বক্তব্য শুনে ১০ মার্চ রায়ের দিন ধার্য করেন।
এর পর গত ৮ মার্চ ব্যারিস্টার রফিক-উল হক ও এ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন সংশ্লিষ্ট আদালতে গিয়ে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানীর জন্য সময়ের আবেদন করেন। এ আবেদনে আদালত পরবর্তী শুনানী ও রায়ের জন্য ১৫ মার্চ দিন ধার্য করেন।
দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া খনি থেকে কয়লা উত্তোলন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণে ঠিকাদার নিয়োগে অনিয়ম এবং রাষ্ট্রের ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা ক্ষতি ও আত্মসাৎ করার অভিযোগে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করে দুদক। এ মামলায় তদন্ত শেষে একই বছরের ৫ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করা হয়।
এর পর এ মামলা বাতিল চেয়ে ২০০৮ সালে হাইকোর্টে আবেদন করেন খালেদা জিয়া। আদালত এ আবেদনে ওই বছরের ১৬ অক্টোবর মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন এবং মামলাটি কেন বাতিল করা হবে না তার কারণ জানতে চেয়ে রুল জারি করেন।
প্রতিক্ষণ /এডি/বাবর